রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু জানতে পাচ্ছেন না তাহলে আমার এই পোস্টেটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত।
আজকে আমরা জানবো রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ সম্পর্কে তার সাথে রাজশাহী সম্পর্কে বিস্তারিত আরও অনেক কিছু জানবো। আমার এই পোস্টেটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি
রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা হলো নওগাঁ এবং বগুড়া। আয়তনের দিক দিয়ে রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সবথেকে বড় জেলা হচ্ছে নওগাঁ। বগুড়া জেলা জনসংখ্যার দিক দিয়ে সব থেকে বড় জেলা রাজশাহী বিভাগের মধ্যে। বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল নওগাঁ জেলা।উপজেলা সংখ্যাল অনুসারে নওগাঁ বাংলাদেশের একটি "এ" শ্রেণীভুক্ত জেলা।
নওগাঁ জেলা ভৌগোলিকভাবে বৃহত্তর বরেন্দ্র ভূমির অংশ। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমভাগে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমারেখা সংলগ্ন যে ভূখণ্ডটি ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চের আগ পর্যন্ত নওগাঁ মহকুমা হিসেবে গণ্য হতো, সেটিই বর্তমান বাংলাদেশের নওগাঁ জেলা।
বগুড়া উত্তরবঙ্গের একটি শিল্প ও বাণিজ্যিক শহর। রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ একটি উপজেলা এটি রাজশাহী বিভাগ এর অন্তর্গত। বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়। ইহা একটি শিল্পের শহর। এখানে ছোট ও মাঝারি ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বগুড়া জেলায় প্রাচীনতম ইতিহাস রয়েছে। বগুড়া জেলা পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী ছিল। যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।
২১ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বগুড়া শহরের আয়তন ৭১.৫৬ বর্গকিলমিটার। বগুড়া শহরে "শহীদ চান্দু নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে, এছাড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (সরকারি) শহর থেকে সামান্য দুরেই অবস্থিত । বগুড়া দইয়ের জন্য খুব বিখ্যাত ।
বগুড়া শহরে থেকে ১১ কিঃমিঃ উত্তরে মহাস্থানগড় অবস্থিত, যা একসময় প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল এবং সেসময় পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের প্রধান মেজর জিয়াউর রহমান বগুড়ার জেলার গাবতলী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
রাজশাহী জেলার ইউনিয়ন কয়টি
রাজশাহী জেলার ইউনিয়ন পরিষদসমূহ হচ্ছে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলার ক্ষুদ্রতম পল্লী অঞ্চল এবং স্থানীয় সরকার একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এই জেলাটিতে ৯টি উপজেলা, ১৩টি থানা (মেট্রোপলিটন এলাকায় ৪টি), ১৪টি পৌরসভা, ৭১টি ইউনিয়ন, ১,৭১৮টি মৌজা এবং ১,৯১৪টি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয়েছে।
রাজশাহী জেলার উপজেলা সমূহ
গোদাগাড়ী উপজেলা
গোদাগাড়ী রাজশাহী জেলার একটি উপজেলা। ১৮৬৫ সালে গোদাগাড়ী থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি উপজেলা হিসেবে গঠিত হয়। এখানে ৯টি ইউনিয়ন, ৩৮৯টি মৌজা এবং ৩৯৬টি গ্রাম রয়েছে। এর আয়তন ৪৭২.১৩ বর্গ কিলোমিটার। গোদাগাড়ী উপজেলার উত্তরে নবাবগঞ্জ সদর ও তানোর উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও গঙ্গা নদী, পূর্বে পবা ও তানোর উপজেলা, পশ্চিমে নবাবগঞ্জ সদর উপজেলা অবস্থিত।
এখানে প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদগুলোর মধ্যে রয়েছে উপরবাড়ি টিলা বৌদ্ধ বিহার (পাল আমল), কুমারপুরের আলী কুলীবেগের মাজার (অষ্টম শতাব্দী), দেওপাড়া গ্রামে পদুমসার শিব মন্দির, দীঘি ও প্রশস্তি শিলালিপি (একাদশ শতাব্দীতে রাজা বিজয় সেন নির্মাণ করেন), হযরত শাহ সুলতানের মাযার (চতুর্দশ শতাব্দী, সুলতানগঞ্জ), এবং খেতুর গ্রামের শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গবাড়ী মন্দির (১৫৮২) ও মান্ডইলের জৈন মন্দির। এটি কৃষি প্রধান এলাকা। ধান, গম, আলু এবং অন্যান্য ফসল এখানে চাষ করা হয়।
তানোর উপজেলা
তানোর উপজেলা হলো রাজশাহী জেলার একটি উপজেলা। এই উপজেলার থানা গঠন করা হয়েছিল ১৮৬৯ সালে এবং উপজেলাটি গঠিত হয় ১৯৮৩ সালে। এর আয়তন ২৯৫.৩৯ বর্গ কিলোমিটার। তানোরের উত্তরে নাচোল ও নিয়ামতপুর উপজেলা, দক্ষিণে পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলা, পূর্বে মোহনপুর ও মান্দা উপজেলা, পশ্চিমে নাচোল, নবাবগঞ্জ সদর ও গোদাগাড়ী উপজেলা।পুরাকালে এই অঞ্চলে জনপদ বলতে তেমন কিছুই ছিল না।
কিন্তু আজকে এই জনপদ তানোর একটি শস্যশ্যামল খাদ্য ভান্ডার হিসাবে পরিণত হয়েছে। এখানে অনেকগুলো আদিবাসী গ্রাম রয়েছে এবং তারা এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করে। এখানে প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সিধইর গ্রামে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ভাগনা জামে মসজিদ (১২২৩ হিজরি), মুন্ডুমালা গ্রামে প্রাচীন মসজিদ (ষোড়শ শতক), তালন্দ শিব মন্দির (১৮৬০) ও দুর্গা মন্দির এবং বিহারোল গ্রামে বৌদ্ধ বিহার।
মোহনপুর উপজেলা
মোহনপুর উপজেলা ১৯১৭ সালে থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। থানা প্রতিষ্ঠা লগ্নে অপরাধ দমন ও প্রজার শান্তি রক্ষাই ছিল থানা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। ১৯৬২ সালে থানা উন্নয়ন কার্যক্রমের জড়িত হয় এবং T.T.D.C (Thana Training and Development Center) প্রতিষ্ঠা হয়; যার প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন Circle officer (Development)পরবর্তীতে প্রশাসনিক ধারাবাহিকতায় এ থানা ২৪/০৩/১৯৮৩ খ্রিঃ তারিখে উপজেলায় উন্নীত হয়। উল্লেখ্য এ উপজেলার নাম করণের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন তথ্য পাওয়া য়ায় না। ধারণা করা হয় মোহনপুর নামক একটি মৌজার নাম থেকেই উপজেলার নাম করণ করা হয়েছে।
এখানে প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদের মধ্যে রয়েছে বিশালপুর প্রাচীন মন্দির। মোহনপুর এলাকায় ঋতু অনুযায়ী অনেক ফসল উৎপাদন হয়। পানবর্জ হচ্ছে এলাকার অর্থনীতির প্রধান উৎপাদন। মোহনপুর উপজেলায় সবচেয়ে বড় পান হাট আছে যা নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে অবস্থিতঃ
- পাকুড়িয়া
- মৌগাছি
- ধোপাঘাটা
- কুঠিবাড়ি
- একদিল, তলা
বাগমারা উপজেলা
রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ আরেকটি বড় উপজেলা হলো বাগমারা। এই উপজেলাটিতে ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা রয়েছে, এর আয়তন ৩৬৩.৩ বর্গ কিলোমিটার। বাগমারা উপজেলার উত্তরে মান্দা ও আত্রাই উপজেলা, দক্ষিণে দুর্গাপুর, পুঠিয়া এবং নাটোর সদর উপজেলা, পূর্বে আত্রাই এবং নাটোর সদর উপজেলা, পশ্চিমে মোহনপুর উপজেলা অবস্থিত।
এখানে প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদগুলোর মধ্যে রয়েছে বারনাই নদীর তীরে অচিন ঘাট গ্রামে পাঁচপীরের মাজার ও শাহী মসজিদ। এই উপজেলার প্রধান কৃষি ফসলগুলো হলো ধান, গম, আলু, ভুট্টা, সরিষা, তিল, পান, শাকসবজি।
দুর্গাপুর উপজেলা
দুর্গাপুর বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার একটি উপজেলা। দুর্গাপুর উপজেলাটি ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে, যার আয়তন ১৯৫.০৩ বর্গ কিলোমিটার। দুর্গাপুর উপজেলার উত্তরে বাগমারা এবং মোহনপুর উপজেলা, দক্ষিণ ও পূর্বে পুঠিয়া উপজেলা, পশ্চিমে পবা উপজেলা অবস্থিত।
এখানে প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদগুলোর মধ্যে রয়েছে কিসমত মসজিদ (মাড়িয়া, অষ্টাদশ শতাব্দী), রুইপাড়া জামে মসজিদ (ষোড়শ শতাব্দী), পাঁচুবাড়ী পাঁচগম্বুজ জামে মসজিদ, কালী মন্দির (কালীদহ), নীলকুঠির ধ্বংসাবশেষ (পাননগর ও বখতিয়ারপুর)। দুর্গাপুর একটি কৃষি-প্রধান এলাকা। ধান, পান, আলু, গম, ভুট্টা প্রধান ফসল। এছাড়াও এই উপজেলাটি মাছ চাষের জন্য পরিচিত।
বাঘা উপজেলা
রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ উপজেলা বাঘা। এই উপজেলার অন্তর্ভুক্ত পৌরসভা সংখ্যা ০২, ইউনিয়ন সংখ্যা ৭, মৌজা সংখ্যা ৯৯ এবং গ্রাম সংখ্যা ১২৬। এর আয়তন ১৮৪.২৫ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে চারঘাট ও বাগাতিপাড়া উপজেলা, দক্ষিণে দৌলতপুর উপজেলা (কুষ্টিয়া), পূর্বে লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং পদ্মা (গঙ্গা) নদী।এই উপজেলায় অনেকগুলো প্রসিদ্ধ বাজার এবং ২টি গরুর হাট রয়েছে।
এখানে প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদগুলোর মধ্যে রয়েছে দশ গম্বুজ বিশিষ্ট বাঘা শাহী মসজিদ ও দীঘি (১৫২৩), মীরগঞ্জের নীলকুঠি (বর্তমানে রেশম শিল্পের কারখানা), দিলাল বোখারীর (রহ.) মাযার (আলাইপুর)। বাঘা উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে আম উৎপাদিত হয়।
চারঘাট উপজেলা
রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ অন্তর্গত একটি উপজেলা চারঘাট। চারঘাট উপজেলায় মোট ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। এই উপজেলার উত্তরে পুঠিয়া উপজেলা, দক্ষিণে বাঘা উপজেলা, পূর্বে নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলা এবং পশ্চিমে পবা উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে অবস্থিত। এর পাশে পদ্মা নদী প্রবাহিত। চারঘাট উপজেলার অর্থনীতির প্রধান আয়ের উৎস হল কৃষি।
এখানে অনেকে চাষাবাদ এবং কৃষিনির্ভর ব্যবসা করেন। তবে কিছু লোক ব্যবসায়ী, জেলে ও তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত। চারঘাট উপজেলা আম উৎপাদন ও বিপণনে প্রসিদ্ধ। এই উপজেলা খয়ের শিল্পের জন্য বেশি বিখ্যাত। চারঘাট উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি এখানকার বিশেষ আকর্ষণ। এখানে পুলিশ একাডেমি, ক্যাডেট কলেজ অবস্থিত।
পবা উপজেলা
পবা রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ একটি উপজেলা। এই উপজেলাটিতে ৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা রয়েছে, যেখানে “বড়গাছী ইউনিয়ন” অন্যতম। এর আয়তন ২৮০.৪২০ বর্গ কিলোমিটার।উপজেলা হওয়ার পূর্বে পবা মৌজায় পবা থানা অবস্থিত ছিল, কিন্তু ১৯৮৩ সালের ১১ নভেম্বরে এটি উন্নীত হয়ে পবা উপজেলা হিসাবে গঠিত হয়।পবা উপজেলায় বেশ কয়েকটি মেট্রোপলিটন থানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং পবা থানার নামকরণ করা হয় শাহমখদুম থানা।
এখানে একটি বিমান বন্দর, একটি সুগার মিল, একটি জুটমিল, একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আটটি বৃহৎ কোল্ড স্টোরেজ (যার মধ্যে অন্যতম মাধবপুরে অবস্থিত “রাজ কোল্ড স্টোরেজ”) যেটি বর্তমান এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় আলুর কোল্ড স্টোরেজ। ২০১৯ সালে পবা থানাটি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে আনা হয়েছে।
পুঠিয়া উপজেলা
রাজশাহী শহর হতে পুঠিয়ায় দূরত্ব মাত্র ৩২ কিলোমিটার এবং নাটোর হতে দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। এই উপজেলার বর্তমান আয়তন ১৯২.৬৪ বর্গকিলোমিটার।এর উত্তরে দুর্গাপুর (রাজশাহী) ও বাগমারা উপজেলা, দক্ষিণে চারঘাট ও বাগাতিপাড়া উপজেলা, পূর্বে নাটোর সদর উপজেলা, পশ্চিমে দুর্গাপুর ও পবা উপজেলা। পুঠিয়া থানা গঠিত হয় ১২ মার্চ ১৮৬৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে। রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ এই পুঠিয়া উপজেলাটি।
এখানে প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সৈয়দ করম আলী শাহের (রঃ) বিরাট মসজিদ ও মাযার, পুঠিয়ার রাজবাড়ি, রাজবাড়িতে ঝুলন মন্দির, আহ্নিক মন্দির (ছোট আহ্নিক মন্দির ও বড় আহ্নিক মন্দির, অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে বা ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমে নির্মিত), চৌচালা (পিরামিডাকৃতির) মন্দির (ছোট গোবিন্দমন্দির ও ছোট শিবমন্দির, অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে বা ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমে নির্মিত)।
রত্নমন্দির (একরত্ন বা প্রাণগোপাল মন্দির ঊনবিংশ শতকে নির্মিত, পঞ্চরত্ন মন্দির নির্মিত ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে এবং পঞ্চরত্ন শিবমন্দির প্রতিষ্ঠিত ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে), সমতল ছাদবিশিষ্ট দালান মন্দির (গোপাল মন্দির ও তারাপুর মন্দির), অষ্টকোণা মন্দির বা রথ মন্দির, দোচালা বা একবাংলা মন্দির (ঊনবিংশ শতকে নির্মিত), দোলমন্দির বা দোলমঞ্চ (১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত) এবং শিবসাগর ও গোবিন্দসাগর নামে দু’টি বড় দীঘি। দেশের অন্যতম বৃহৎ আমের হাট পুঠিয়ার বানেশ্বরে।
রাজশাহী জেলার পৌরসভার নাম
- বাঘা পৌরসভা
- আড়ানী পৌরসভা
- চারঘাট পৌরসভা
- পুঠিয়া পৌরসভা
- কাটাখালী পৌরসভা
- নওহাটা পৌরসভা
- কাঁকনহাট পৌরসভা
- গোদাগাড়ি পৌরসভা
রাজশাহী কত নাম্বার বিভাগ
রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের পর এটি বাংলাদেশের তৃতীয় জনবহুল বিভাগ। এবং আয়তনে চতুর্থ বৃহত্তম বিভাগ। ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার ১১৯ জন। এবং আয়তন ১৮,১৫৪ বর্গ কিলোমিটার।
রাজশাহী বিভাগটি একটি প্রাচীন এলাকা হওয়ার সুবাদে এখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি প্রত্নস্থান দেখা যায়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী রাজশাহী বিভাগে ১৩৪ টি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। এরমধ্যে বৃহত্তর রাজশাহীর বর্তমান নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের জেলা
রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলা হচ্ছ – ১। রাজশাহী ২। নাটোর ৩। নওগাঁ ৪। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫। বগুড়া ৬। জয়পুরহাট ৭। পাবনা ৮। সিরাজগঞ্জ ।
রাজশাহী বিভাগের জেলা এবং উপজেলা সমূহ তালিকা
রাজশাহী বিভাগে মোট ৬৭টি উপজেলা রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহ তালিকা নিম্নরূপ :
১। রাজশাহী জেলাঃ রাজশাহী জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছেঃ পবা, চারঘাট, বাঘা, পুঠিয়া, তানোর, মোহনপুর, দূর্গাপুর, বাগমারা, গোদাগাড়ী,
২। নাটোর জেলাঃ নাটোর জেলায় মোট ৭টি উপজেলা রয়েছেঃ নাটোর সদর, লালপুর, বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, সিংড়া, নলডাঙ্গা ।
৩। নওগাঁঃ নওগাঁ জেলায় মোট ১১টি উপজেলা রয়েছেঃ নওগাঁ সদর, আত্রাই, রাণীনগর, পত্নীতলা, সাপাহার, পোরশা, মান্দা, মহাদেবপুর, ধামইরহাট, বাদলগাছী, নিয়ামতপুর ।
৪। চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মোট ৫টি উপজেলা রয়েছেঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর, নাচোল ।
৫। বগুড়াঃ বগুড়া জেলায় মোট ১২টি উপজেলা রয়েছেঃ বগুড়া সদর, শাজাহানপুর, শেরপুর, ধুনট, সারিয়াকান্দি, গাবতলী, সোনাতলা, শিবগঞ্জ, দুপচাচিয়া, কাহালু, আদমদীঘি, নন্দীগ্রাম ।
৬। জয়পুরহাটঃ জয়পুরহাট জেলায় মোট ৫টি উপজেলা রয়েছেঃ জয়পুরহাট সদর, পাঁচবিবি, আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল, কালাই ।
৭। পাবনা জেলাঃ পাবনা জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছেঃ ১। পাবনা সদর ২। সাঁথিয়া ৩। সুজানগর ৪। বেড়া ৫। ঈশ্বরদী ৬। ভাঙ্গুড়া ৭। ফরিদপুর ৮। চাটমোহর ৯। আটঘরিয়া
৮। সিরাজগঞ্জ জেলাঃ সিরাজগঞ্জ জেলায় মোট ৯ টি উপজেলা রয়েছেঃ ১। সিরাজগঞ্জ সদর ২। রায়গঞ্জ ৩। কাজিপুর ৪। তাড়াশ ৫। শাহজাদপুর ৬। উল্লাপাড়া ৭। কামারখন্দ ৮। বেলকুচি ৯। চৌহালী।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url