কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। এই পোস্টটি পড়ে জেনে নিন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
সূচিপত্র:
আমার এই পোস্টটি পড়ে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম এছাড়াও কিসমিস খাওয়ার আরও বিভিন্ন উপকার সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই আমার এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ভূমিকা
কিশমিশ বা কিসমিস হলো শুকনো আঙ্গুর। এটিকে ইংরেজিতে রেইসিনও বলা হয়। কিশমিশ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয় এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় ও বিভিন্ন খাদ্য রান্নার সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
কিসমিস একটি পুষ্টিকর খাবার। কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা আরও ভালোভাবে পাওয়া যায় কিসমিস ভেজানো পানি পান করলে। রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিসে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজেই দ্রবণীয় হয়ে যায়। ফলে সেই পানি পান করলে কিসমিসের গুণাগুণ আমাদের শরীর আরো সহজে নিতে বা শোষণ করতে পারে।
তাই সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিসসহ পানি পান করলে মিলবে নানা উপকারিতা।সপ্তাহে অন্তত চারদিন কিসমিস ভেজানো পানি পান করলে তা পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। যারা প্রায়শই পেটের সমস্যাই ভোগেন তাদের জন্য এই টনিক বিশেষ উপকারি।
সকালে খালি পেটে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমনঃ-
হাড়ের স্বাস্থ্য বর্ধন করে
কিসমিসে অতিরিক্ত একটি উপাদান, ক্যালসিয়াম, পাওয়া যায়, যা হাড় এবং দাঁতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরও, এটে বোরন নামক একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে, যা সঠিক হাড়ের গঠন এবং ক্যালসিয়ামের সঠিক অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সর্বপ্রাথমিকভাবে মানুষের জীবনে খুব ছোট পরিমাণে প্রয়োজন হতে পারে, তবে এর উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
এটার সহায়ক ভূমিকা তাই বোরন মেনোপজ ঘটে যাওয়া নারীদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিস এবং হাড় ও জয়েন্ট সমস্যার সাথে খুব উপকারী হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিসমিস খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখতে পারেন।
সুস্থভাবে ওজন বাড়ায়
সবাই ওজন কমাতে চায় না, তার পাশাপাশি ওজন বাড়াতে চাওয়া মানুষের একাধিক দেখা যায়। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান, তাহলে কিসমিস তার পরম সহায়ক হতে পারে।
ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে
কিশমিস আপনার ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। যখন এটি প্রাকৃতিক তাপমাত্রা উন্নত করে, তখন আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যবান এবং তাজা রাখতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধারণ করে, যা ত্বকের যৌবন বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকারক রেডিকালগুলির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
কিসমিসে যে পটাশিয়াম থাকে, সেটি রক্তের চাপ নির্মাণে সাহায্য করে। এটি শরীরে উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে, যা রক্তচাপের বৃদ্ধির প্রধান কারণ হতে পারে। কিসমিস শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
ভালো ঘুম হয়
ঘুমের মানসিক অবসাদ দূর করতে কিসমিসের যে ভূমিকা পালন করে সে সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি, তবে, কিসমিসে থাকা আয়রন ঘুমের সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যে সাহায্য করতে পারে। এটা সত্ত্বাধিক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, যা শুধুমাত্র হিমোগ্লোবিন উত্পাদন প্রবৃদ্ধি করে না, বরং ব্যপক ক্রিয়াকলাপেও সাহায্য করে। কিসমিস ভালো ঘুমের প্রশাসন এবং শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্য সমর্থন করতে সাহায্য করতে পারে।
আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে
কিশমিস, বিশেষভাবে মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে, কারণ মহিলাদের কিছু খাবারের উপাদানে আয়রনের ঘাটতি সম্মিলিত থাকে, যা রক্তস্বল্পতা সম্পর্কিত। এই কিশমিসের ভেজানো পানি নিয়মিতভাবে খেলে, আমাদের রক্তসঞ্চালনে যেসব সমস্যা রয়েছে, যেমন পেশি সংকুচিত হয়ে যাওয়া, সেই সব সমস্যা থেকেও সমাধান পেতে সাহায্য করতে পারে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে
কিসমিসে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, তবে এটি খুব বেশি নয়, এবং তা মহিলাদের রক্তস্বল্পতা সম্মিলিত থাকা খাবারের মধ্যে একটি অবশ্যই খাবার নয়। কিসমিস খেতে গিয়ে যে কোনও খাবার সঙ্গে মেয়াদী রূপে নিয়ন্ত্রিত করা উচিত, এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে সাবাদ্য করতে হবে।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায় কিসমিস। শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি।কিসমিস ভিজানো পানি খাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করুনঃ-
- রাতে ঘুমানোর আগে, একটি গ্লাস পানি সহ একমুঠো কিসমিস ভিজান।
- সকালে উঠে, কিসমিসগুলো ধুয়ে নিন এবং পানি পান করুন।
- কিসমিসগুলোও খেয়ে শেষ করুন।
কিসমিস ভিজিয়ে খেলে কোনো দ্বিধান্ড প্রতিক্রিয়া নেই, তবে অতিরিক্ত কিসমিস খেলে গ্যাস এবং পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং, কিসমিস খেতে হলে পরিমিত পরিমাণে ভিজানো কিসমিস খাওয়া ভালো।
ভেজানো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই। এছাড়া কিসমিস হৃদয় ভালো রাখে। নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল। কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ আছে। আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা সহজে রোগমুক্তির কারণ।
আর আছে প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। কিসমিস একটি পৌষ্টিক সবজি যা মহিলাদের স্বাস্থ্য এবং ক্ষতিকারক রেডিকালগুলির সাথে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে এবং তাদের সামান্য আয়রন আপত্তির পরিস্থিতি সামান্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
ভেজানো কিসমিস খেলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমনঃ-
ব্লাড প্রেসার: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি কিসমিস। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার বশে রাখে।
রক্ত স্বল্পতা কমায়: রক্ত স্বল্পতা কমাতে কিসমিস যথেষ্ট উপকারি। নিয়মিত কিসমিস খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ায়: সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন কিছু দিন পরেই।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়াতে চান তবে ভেজা কিসমিস এবং তার পানি নিয়মিত খান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বিষমুক্ত শরীর: শরীরকে দূষণমুক্ত করতে কিসমিস খান নিয়মিত। চারিদিকের দূষণে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানিও খেতে পারেন।
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক কেউ যদি প্রতিদিন তার খাদ্য তালিকায় ৩0 থেকে 40 গ্রাম কিসমিস খায় তবে তার শরীর থেকে বিভিন্ন রকমের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যাবে। অনেকেই মনে করেন যে কিসমিস শুধু রান্নার উপকরণ কিন্তু কিসমিস যে রান্নার পাশাপাশি ভিজিয়ে খেলে বা ঘুমানোর পূর্বে খেলেও অনেক উপকার হয় তাহলে চলুন জেনে নিই সে উপকারগুলো,
মনোযোগ ও বুদ্ধির বিকাশ: ছোট বাচ্চদের বুদ্ধির বিকাশে দারুণ কাজ করে কিশমিশ। এতে থাকা উপকারী উপাদান বোরন যেকোনো কাজে মনোযোগী হতে সাহায্য করে।
মানসিক প্রশান্তি: কিশমিশে থাকা আয়রন গভীর ঘুমের জন্য বিশেষ উপকারী। তা ছাড়া নিয়মিত কিশমিশ খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে অবসাদ দূর হতে পারে, যা মানসিক প্রশান্তি আনতে দারুণ কাজ করে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর: কিশমিশে আছে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
শক্তি জোগায়: কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ কর্মশক্তি বাড়ায়। পরিমিত কিশমিশ খাওয়া দুর্বলভাব কমায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অন্ধত্ব ও কোলেস্ট্রেরল দূর: কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। কিশমিশের দ্রবণীয় ফাইবার লিভার থেকে কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে।
অনিদ্রা: কিশমিশে রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা মানুষের অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে সহায়ক। তাই প্রতিদিনই সকালে খালি পেটে ২টি করে কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: কিশমিশে থাকা ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা শিশুদের জন্য বিশেষ উপকারী।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
কিসমিস খাওয়া শরীরের জন্য বিশেষ ধরনের একটি উপকার। কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা প্রতিনিয়ত কিসমিস খেলে দেখবেন যে আপনার শরীরের অনেক রকম সমস্যা দূর হয়ে গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে তা সব থেকে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।
কিন্তু আপনি জানেনই না প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত তবে উপকার না পেয়ে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।একটি পূর্ণবয়স্ক মানব দেহের জন্য প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া যেতে পারে। এটা একটা পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য পরিমান।কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি,ভিটামিন বি,প্রোটিন,আয়রন,পটাশিয়াম ইত্যাদি।
এইগুলো থাকার কারণে মানব দেহের যেই ঘাটতি থাকে তা পূরণ করে দেয়।মানবদেহে সব রকমের খাবার খেয়ে শরীরের ঘাটতি পূরণ হয় না তাই এই কিসমিসের মাধ্যমে পূরণ হয়ে যায়।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও আইরন রয়েছে যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়।
- কিসমিস শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে।
- শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেক সাহায্য করে কিসমিস।
- কিসমিস খেলে শরীরের কোলেস্টেরল দূর করতে অনেক সাহায্য করে।
- লিভার পরিস্কার করতে অনেক সাহায্য কিসমিসের পানি।
- কিসমিসে রয়েছে অ্যান্ট্রিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখে এবং তার পাসে পাসে শরীরের সমস্ত রোগ প্রতিরোগ করতে অনেক সাহায্য করে।
- নিয়মিত কিসমিস খেলে শরীরের অ্যাসিডিটি দূর করে।
- কিসমিস রক্ত স্বল্পতা কিংবা রক্ত শূন্যতা কমাতে অনেক সাহায্য করে।
- খুব সহজেই খাবার হজম করতে অনেক সাহায্য করে কিসমিস।
- কিসমিস শরীরের হৃদক্রিয়া সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে।
- কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরের হার কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে ও হাত-পায়ের ব্যথা কিংবা যন্ত্রণা দূর করে।
- ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থেকে সাহায্য করে কিসমিস।
- কিসমিস শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে।
- রাতে যাদের ঘুম আসে না তারা নিয়মিত কিসমিস খাবেন এতে খুব সহজেই ঘুম আসবে।
- মস্তিষ্কের বৃদ্ধি বাড়াতে অনেক উপকারী এই কিসমিস।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার অপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- অতিরিক্ত কিসমিস খেলে যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাদের ডায়াবেটিস বেরিয়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত কিসমিস খেলে শরীরের ওজন খুব দ্রুত বাড়ে, যারা ওজন কমাতে চান তারা অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাবেন না।
- যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত কিসমিস খাবেন না অতিরিক্ত কিসমিস খেলে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত কিসমিস খেলে শরীরের পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা হতে পারে।
- প্রচুর পরিমাণে কিসমিস খেলে রক্তের শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হতে পারে।
- কিসমিসে থাকে চিনি যা অতিরিক্ত খেলে দাঁতের সমস্যা হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url