বাইক চালানোর খুটিনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো বাইক চালানোর খুঁটিনাটি সম্পর্কে ও বাইক চালানোর সংকেত এগুলো সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পুরো পোস্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি গাড়ি চালানোর বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বাইক চালানোর আগে আপনাকে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন ও এই কাজে দক্ষতা হতে হবে। আর অবশ্যই আপনাকে দক্ষ কারও কাছ থেকে বাইক চালানো শিখতে হবে।

চালানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে একজন দক্ষ কারো কাছ থেকে বাইক চালানো শিখতে হবে। দক্ষ মানে এই না যে আপনি দুই থেকে আড়াই মাস সখের বসে গাড়ি চালানো শিখবেন এরকম কখনোই না। মনে রাখবেন গাড়ি চালানো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এটা যদি একটু অমনোযোগী হয়ে আপনি চালান তাহলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সেজন্য আমাদেরকে একজন দক্ষ বাইক চালকের সাথে কথা বলে তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া।

আর প্রথমেই আপনাকে বাইক খোলার মাঠে চালাতে হবে এবং প্রতিদিন ১ ঘন্টা সময় করে বাইক চালাতে হবে। এছাড়াও আপনি ট্রাফিক লাইন রাস্তায় বাইক চালানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একজন আদর্শ বাইক চালক হতে হলে ট্রাফিক সাইনগুলো সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা থাকতে হবে। আমাদের দেশের সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হচ্ছে ট্রাফিক সিগনাল ঠিকভাবে না জানা ও না মানা।

আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে যারা কার বাইক চালায়। এটা মূলত সবারই অনেক পছন্দ যে তার নিজের একটা বাইক থাকবে সে নিজেই তার বাইক নিয়ে রাইড করবে। এইটা সবাই আশা করে কিন্তু আপনার বাইক যখন আপনার বাসায় দুইদিন অফ হয়ে থাকে তখন সেটার করণীয় কি সেটা কিন্তু অনেকেই জানে না। অনেক মানুষ আছে যারা দুই তিন দিন বাইক না চালিয়ে বাসাই ফেলে রাখে অফ করে তারপরে একদিন একদিন হুট করে বাইক স্টার্ট করে বাইক চালানো শুরু করে।

যখন আপনার বাইক দুই তিন দিন অফ হয়ে থাকবে তখন বাইক স্টার্ট করে অন্তত চার পাঁচ মিনিট স্টার্ট অবস্থায় রাখবেন। কারণ যখন আপনি বাইকটা আপনার বাসায় দুই তিন দিন স্টার্ট না দিয়ে রেখে দেন তখন বাইকের ইঞ্জিনের মবিল নিচের দিকে ডাউন হয়ে যায়। একটা বাইকের হৃদপিণ্ড মস্তিষ্ক সব কিছুই হচ্ছে তার ইঞ্জিন যেখান থেকে পুরো বাইকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে যদি আপনি ইঞ্জিনের ঠিকমতো যত্ন না করেন অসচেতন থাকেন তাহলে আপনার বাইকটার ক্ষতি হতে পারে।

সব সময় খেয়াল রাখতে হবে বাইকের ইঞ্জিন এর দিকে কখন কোনটা সমস্যা হচ্ছে সেটা তখনি সাথে সাথে ঠিক করে নেয়া। আপনার বাইক যখন স্টার্ট দিবেন বা স্টার্ট করার পর ইঞ্জিনের সমস্ত পারছে পর্যাপ্ত অয়েলের দরকার পড়ে যাবে। ইঞ্জিন এর সব জায়গায় অয়েল জাচ্ছে কি দেখতে হবে। কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা স্টার্ট দিয়ে বাইক চালানো শুরু করে সঙ্গে সঙ্গেই এতে আপনার বাইকের ইঞ্জিনে সমস্যা হতে পারে।

আমাদের দেশের প্রায় সব মানুষ বাইক চালাই। কিন্তু আমাদের দেশের বাইক যারা চালায় তাদের মধ্যেও অনেক মানুষ থাকে যারা বাইক চালানোর সংকেত কি এটা জানে না। বাইক চালানোর সময় দেখবেন সাদা রং দিয়ে দাগ দেওয়া থাকে। এই দাগগুলো কি জন্য দেওয়া হয় এটা জানেন আপনারা কি জন্য দেওয়া হয়। নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে ভেবেই হয়তো যাত্রী হিসেবে এই নির্বাচন করেছেন।

আমরা অনেক সময় দেখি রাস্তায় সাদা টানা টানা লাইনের দাগ থাকে এই দাগের মানে কি জানেন এটার মানে হচ্ছে যে আপনি যে কোন গাড়িকে এখন ওভারটেক করতে পারবেন।ধরেন আপনার সামনে একটা গাড়ি আছে আপনি চাইলে সেই গাড়িটাকে ওভারটেক করে সামনে যেতে পারবেন।

কিন্তু সাইডে দেখবেন আরেকটা দাগ থাকে সেই দাগটাকে আপনার ক্রস করা যাবে না। অনেক মানুষ থাকে যারা অনেকদিন পর পর শহরে আসে বা বড় বড় রাস্তায় আসে তখন তারা এই সাদা টানা রঙের দাগ কি জন্য দেওয়া হয়েছে এটা জানে না বা এটার কাজ কি সেটাও জানে না। আমাদের দেশের অনেক বাইকচালক আছে যারা এই বিষয়ে জানে ঠিক কিন্ত তারা নিয়ম মানে না।

এখন আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যারা নতুন নতুন বাইক চালাই। নতুন নতুন যখন কেউ বাইক চালায় তখন বাইক চালানোর মজাটা অন্যরকম থাকে বা তখন বাইকের উপরে একটা আবেগ কাজ করে। তখন মনে হয় যে একটু জোরে চালায় এরকম মনে হয়। যারা নতুন বাইক চালাবেন তারা কখনো জোরে বাইক চালাবেন না। বাইক চালানোর সঠিক নিয়ম না জেনে নতুন বাইক চালাবেন না।

একজন নতুন ড্রাইভার যখন বাইরে রাস্তায় যায় তখন বাসার মানুষ অনেক চিন্তিত থাকে কারণ একটা নতুন ড্রাইভার কিংবা বাইক চালক সঠিকভাবে বাইক চালাতে না পারলে সে যেকোনো সময় এক্সিডেন্ট করতে পারে। এ কারণে আগে আপনাকে সঠিকভাবে বাইক চালানো শিখতে হবে। বাইক চালানোর কয়েকটি নিয়ম যদি আপনি মানতে পারেন তাহলে এটা আপনার জন্য অনেকটাই ভালো হবে। কি কি নিয়ম মেনে গাড়ি চালাবেন আসুন জেনে নিই।

একটা বাইক চালানোর নিয়ম কি এটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। আপনি যখন বাইক চালাবেন তখন আগে আপনার বাইকের লুকিংগ্লাস ও ব্রেক ঠিক আছে কি দেখতে হবে। কারণ আপনার বাইকের ব্রেক ঠিক না থাকলে আপনি এক্সিডেন্ট করতে পারেন। এই জন্য বাইক চালানোর আগে সবকিছু চেক করে বাইক চালাবেন। এতে করে আপনি অনেক সেভ বাইক রাইড করতে পারবেন এবং এক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।

যখন আপনি বাইক চালাবেন তখন আপনার বাইকের কাগজ, ড্রাইভিং লাইন্সের কাগজ সবকিছু আপনার সাথে নিয়ে বাইক চালাবেন মাথায় হেলমেট ব্যবহার করবেন। হেলমেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাস্তা ঘাটে বাইক চালাতে গিয়ে এক্সিডেন্ট হয়ে গেলে হেলমেট আপনার মাথাকে আঘাত পাওয়া থেকে বাচিয়ে নেয়। এইজন্য একজন বাইক চালক হিসেবে আপনার হেলমেট ব্যবহার করা জরুরী। তারজন্য বাইক চালানোর সময় বাইকের সব রকম সেভটি নিয়ে বাইক চালাবেন।

আরো পড়ুনঃনতুন বাইকের দাম সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো আমার পোস্টটা পড়ে জানতে পেরেছেন বাইক চালানোর খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে ও বাইক চালানোর সংকেত সম্পর্কে বাইক চালানোর পদ্ধতি বাইক চালানোর নিয়ম এগুলো সম্পর্কে আপনাদের জানা হয়ে গেছে। আমাদের দেশের সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে ট্রাফিক সাইনগুলো সঠিকভাবে না জানা না মানা।

আপনি যদি একজন দক্ষ বাইকচালকের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন না করেন তাহলে ঘটতে পারে এক্সিডেন্ট এর মত মারাত্মক দুর্ঘটনা। এজন্য আমাদের উচিত প্রথমে একজন দক্ষ অভিজ্ঞতার কাছে গিয়ে বাইক চালানো শেখা। আমার এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।