রাজশাহী সিটির দর্শনীয় জায়গা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয়পাঠক আজকে আমি আপনাদের জানাবো রাজশাহী সিটির দর্শনীয় জায়গা সম্পর্কে। তাছাড়াও রাজশাহী সম্পর্কে আরও অনক কিছু জনাবো এই সব সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। এই জন্য আপনাদের অবশ্যই পুরো পোস্টটা খুব মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা জানতে পারবেন।
রাজশাহী সিটি উত্তর বঙ্গের মধ্যে সব থেকে ক্লিন সিটি। এই সিটিকে বর্তমানে আলোর সিটি বলা হয়।
রাজশাহী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
১। রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা
চিরিয়াখানার প্রধান প্রবেশ গেইটে বিদ্যামান জিরাফের বিশাল ভাস্কর্য ও মৎস্য কুমারীর ফোয়ারা নজড়ে পড়ে। নানা রকম ফুল, ফল ও ঔষধি গাছের ছায়া ঘেরা পার্কের ভিতরে আছে দৃষ্টিনন্দন ও নান্দ্যনিক ব্রিজ সহ একটি ছোট লেক। চিড়িয়াখনায় উল্লেখয়োগ্য সংগ্রহের মধ্যে বাজরিকা,বালিহাস, ঘোড়া, হরিন, উদবিড়াল, অজকর সাপ, কুমির সহ বিভিন্ন জলজ স্থলজ পশুপাৃুখি।
মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের এই উদ্দ্যানের কৃ্ত্রিম পাহাড় থেকে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এছাড়া পার্কে দর্শণনার্থীদের চিত্তবিনোদনের জন্য প্যাডেল বোট, নাগরদোলা সহ বেশ কিছু আর্কষনীয় রাইড রয়েছে ।
২। রাজশাহী শিশু পার্ক
রাজশাহী জেলা সদরের নওদাপাড়া বড় বনগ্রামে অবস্হিত শিশুপার্ক রাজশাহী শহরের েএকটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ।নয়নভিরাম পিকনিক স্পট,সব বয়সীদের জন্ন্য দেশি-বিদেশি রাইড সুবিশাল লেক এবং নৌকা ভ্রমনের সুব্যবস্থা ২০০৬ সালে নির্মিত এই পার্কটিকে শহরবাসীর কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।এই শিশু পার্ক শহীদ জিয়া শিশু পার্ক নামে অধিক পরিচিত ।
এই শিশু পার্কে রয়েছে মেরি গো রাউন্ড, মিনি রেলকার, ফ্লুম রাইডস, সুপার সুইং বাম্পার কার, বাম্পার বোট, কিডি রাইডস পেডেল বোট ইত্যাদি ।
৩।রাজশাহী টি-বাঁধ
ভ্রমণপ্রিয় পাঠকেরা ইতোমধ্যে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, বলা হচ্ছে পদ্মানগরী রাজশাহী টি- বাঁধের কথা। বুঝতেই পারছেন, ইংরেজি 'টি' বর্ণের মতো আকৃতি হওয়ার কারণে এ বাঁধের নাম 'টি-বাঁধ'। এটি শুধু রাজশাহীর শহররক্ষা বাঁধই নয়, এটি নগরবাসীর বিনোদনেরও অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
৪। রাজশাহী আই বাঁধ
ইতোমধ্যে রাজশাহীর নয়নাভিরাম স্থান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে আইবাঁধ।মনােরম এই স্থান দেখতে শুধু রাজশাহীবাসী নয় ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষও।সম্পতি নগরীর এই স্থানটির সৌন্দর্য বর্ধনে হাতে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসুচি।বাঁধতির পাশে তৈরী হয়েছে হাইটেক পার্ক।পাশে রয়েছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও ছোট ছোট আম গাছ দোকান পাট ।
৫। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
রাজশাহী শহরে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। এটি প্রত্ন সংগ্রহে সমৃদ্ধ। এই প্রত্ন সংগ্রহশালাটি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে।
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থল হেতেম খাঁ-তে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। বরেন্দ্র জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজপরিবারের জমিদার শরৎ কুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এর শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আবদান রয়েছে।
১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে তারা বাংলার ঐতিহ্য ও নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেন। ঐ বছরে তারা রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করেন। এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করার জন্য শরৎ কুমার রায়ের দান করা জমিতে জাদুঘরটির নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষ হয় ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে। একই বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেল জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url